#

অনলাইন ডেস্ক : ঈদ শেষ হওয়ার পর চতুর্থ দিনে আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বরিশাল নৌবন্দরে রাজধানীমুখি কর্মজীবি যাত্রীদের ভিড় ব্যাপক বেড়েছে। এতে সন্ধ্যার আগেই প্রতিটি লঞ্চ যাত্রীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর কেবিনের বারান্দাও জায়গা খালি ছিল না।

এদিকে যাত্রীদের ভিড়ে ওভারলোড এড়াতে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই লঞ্চগুলোকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘাট ছাড়তে বাধ্য করে। যাত্রী ভরে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা না করায় হাজারের বেশি যাত্রী ঘাট থেকে ফেরত গেছেন।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের প‌রের‌দিন থে‌কে গত তিনদিনে যে যাত্রী হয়নি তার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রীর সমাগম ঘটেছে শুক্রবার। লঞ্চগুলো বরিশাল নদীবন্দর থেকে রাতে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুর থেকেই যাত্রীরা ঘাটে আসতে শুরু করেন। বিশেষ করে ডেক শ্রেণীর যাত্রীরা জায়গা পাওয়ার জন্য আগেভাগে ঘাটে আসেন এবং লঞ্চে উঠেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. কবির হোসেন বলেন, গত ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে রাজধানীর উদ্দেশে ঈদ ফেরত যাত্রীদের বরিশাল থেকে যাত্রা শুরু হয়। গত ক’দিন বৃষ্টি থাকলেও আজ আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো। নদী বন্দরে যাত্রীদের চাপ গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক বেশি। দুপুর থেকে যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে শুরু করলেও বিকেল নাগাদ নদী বন্দর যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জায়গা সংকটের কারণ সব লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনালে বার্দিং করতে পারেনি। যে লঞ্চগুলো বার্দিং করতে পারেনি, তারা অন্য লঞ্চের সঙ্গে বেঁধে কিছুটা ঝুঁকি নেয়ে যাত্রী তুলছে।

লঞ্চ যাত্রীরা কোনো সমস্যার কথা না জানালেও পন্টুনে ভ্রাম্যমাণ হকার ও ভিক্ষুকদের কারণে তাদের স্বাভাবিক যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি কাউন্টারে গিয়ে কেবিন না পেলেও ঘাটে এসে চড়া দামে স্টাফ কেবিন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। যা প্রশাসনের সামনেই হাঁক-ডাক দিয়ে বিক্রি করা হলেও কেউ কিছু বলছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

বরিশাল নৌ-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, আগের ক’দিনের চেয়ে আজ যাত্রী চাপ বেড়েছে। তবে আমরা কোনো লঞ্চই ওভারলোড হয়ে ছাড়তে দিচ্ছি না। লঞ্চ ছাড়ার আগে চেক করে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে লোড লাইন দেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই লঞ্চগুলোকে ঘাট ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

আর লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন, ঈদের সময় এমনিতেই কোনো নির্ধারিত সময় থাকে না। যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই লঞ্চে উঠতে বলা হয়।

এদিকে যাত্রীদের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌবন্দরের ভেতরে এবং বাইরে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর এলাকা ঘিরে র‌্যাব-৮, মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিবি, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, মে‌রিন ক্যাডেট ও স্কাউট সদস্যরা নদী বন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তার কাজ করছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত নদী বন্দর এলাকায় তাদের মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন