জাল জন্ম নিবন্ধন ও আইন লঙ্ঘন করে বাল্য বিয়ে সম্পাদন করায় বরিশালের হিজলায় বর ও তার বাবা সহ তিনজনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে পন্ড করে দেয়া হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে হিজলা উপজেলার খুন্না গবিন্দপুরে বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমীনুল ইসলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অর্থ দন্ড প্রদান করেন। এসময় বাড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পন্ডিত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডিতরা হলো- মুলাদীর কাজীরচর ইউনিয়নের বড়ইয়া নলিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বরের বাবা জাকির ফকির, অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর বেল্লাল ফকির এবং বরের মামা হিজলা উপজেলার খুন্না গবিন্দুপুর গ্রামের বাসিন্দা নরুল আমিন।
তথ্য নিশ্চিত করে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম জানান, গত বুধবার মুলাদী বাজারে এক কাজি অফিসে প্রায় সাড়ে ১৭ বছর বয়সী বেল্লাল ফকির এর সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়ের বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটি জাল জন্ম সনদ ব্যবহার করে বেল্লাল ফকিরকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, গোপনে বিয়ে হলেও শুক্রবার হিজলার খুন্না গবিন্দপুরে বরের মামা নুরুল আমিন নববধূকে বরণের আয়োজন করে। খবর পেয়ে সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে হাজির হন। এসময় বরের বাবা এবং বর আইন লঙ্ঘন ও অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
এজন্য তাদের দু’জনকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ধারা ৭(১) ও ৮ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা এবং বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় একই ধারায় বরের মামা নুরুল আমিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মুলাদী উপজেলার জুয়েল নামের এক চৌকিদার জাল সনদ তৈরী করেছেন। যা দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বেল্লাল ফকিরকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখানো হয়েছে। যা স্বীকার করেছে বরের বাবা। তবে জুয়েল মুলাদী উপজেলার মধ্যে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারিনি। অবশ্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে শুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।