শামীম আহমেদ: গণমাধ্যমের বদৌলতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষিত হওয়ায় আগেই ঘর বরাদ্দ পেয়েছিলেন বরিশালের হিজলার কলেজ ছাত্রী আসপিয়া ইসলাম। এবার যোগদান করলেন ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল পদে (টিআরসি)। দিয়েছেন করোনা পরীক্ষা।
রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের পাঠানো হবে ৬ মাসের প্রশিক্ষণে। পুলিশে যোগদান করতে পেরে এতে খুশি আসপিয়া ও তার পরিবার। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গণমাধ্যম এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতি। আসপিয়াকে সাহসী উল্লেখ করে তার মতো একজন সহকর্মী পেয়ে খুশি অন্যান্য নিয়োগ প্রাপ্তরা।
পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (২৮ই) ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যেই বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে হাজির হন ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া আসপিয়াসহ ৭ জন নারী এবং ৪১ জন পুলিশ সদস্য। চোখে-মুখে তাদের খুশির ঝিলিক। দেশ সেবার স্বপ্ন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সকালে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে তাদের সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পেলে তাদের পাঠানো হবে ৬ মাসের প্রশিক্ষণে। নতুন নিয়েগপ্রাপ্তদের দুপুরে সংবর্ধনা দেয় জেলা পুলিশ।
৭ স্তরের পরীক্ষায় পঞ্চম হলেও ভূমিহীন হওয়ায় চাকরি থেকে প্রায় বাদ পড়তে যাওয়া আসপিয়া নতুন জীবন পেয়েছেন গণমধ্যমের বদৌলতে। চাকরি এবং ঘর পেয়ে খুশি তিনি ও তার পরিবার। ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী, গণমাধ্যম এবং দেশবাসীর প্রতি। আসপিয়ার মতো একজন সাহসী সহকর্মী পেয়ে খুশি তার নতুন সহকর্মীরা।
খুশি এলাকাবাসীও। ভূমিহীন আসপিয়াকে যোগ্যতাবলে চাকরি এবং ঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি নারী নেত্রী অধ্যাপক শাহ সাজেদা। এই বিষয়টি আইনে পরিণত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, আসপিয়ার মতো সাহসী এবং মেধাবীদের পুলিশে স্বাগত জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। উত্তীর্ণ হলেও ভূমিহীন হওয়ায় নিয়োগ দেয়া হবে না ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তহে আসপিয়াকে জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ সংক্রান্ত খবরের প্রেক্ষিতে আসপিয়াকে ঘর এবং চাকরি দেয়ার নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়। ঘর হস্তান্তর হবে মধ্য জানুয়ারিতে।