মুজিববর্ষ উপলক্ষে চতুর্থ পর্যায়ে (দ্বিতীয় ধাপ) বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৩ হাজার ৭৯৫টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকালে সারাদেশের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশালের জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় নতুন করে বরিশাল বিভাগের সাতটি উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে বিভাগের ২০টি উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী জানান, এবারের প্রতিটি ঘরের ব্যয় বরাদ্দ ছিলো ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা। আর যে জমির ওপর ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে স্থান ভেদে তার বাজার মূল্য ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তিনি আরও জানান, এর আগে বরিশাল বিভাগের ২০টি উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো। এবার পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলা, পিরোজপুরের সদর উপজেলা, বরগুনার পাথরঘাটা, বেতাগী ও তালতলী উপজেলা এবং ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাসহ সাতটি উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অপরদিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় বরিশাল জেলার ৮৭৪টি জমিসহ ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৬টি, মেহেন্দিগঞ্জে ১৫০টি, উজিরপুরে ২০টি, বানারীপাড়ার ১৬৩টি, মুলাদীর ২০টি, বাবুগঞ্জের ৬২টি, হিজলা উপজেলায় ১৬৮টি এবং আগৈলঝাড়া উপজেলায় ৩৫টি রয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, তিনটি পর্যায়ে বিভাগে ইতোমধ্যে ২৪ হাজার ৭৮০টি গৃহ নির্মাণপূর্বক গৃহহীন ও ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে বুধবার ৩ হাজার ৭৯৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। যারমধ্যে ভোলা জেলায় সর্বোচ্চ ৯১৩টি, বরিশালে ৮৭৪টি, বরগুনায় ৮৩১টি, পিরোজপুরে ৬১৯টি, পটুয়াখালীতে ৩৭৩টি এবং ঝালকাঠি জেলায় ১৮৫টি রয়েছে। এসব ঘরের প্রতিটির সাথে প্রত্যেক উপকারভোগীকে দুই শতক করে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়। এ বর্ষে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে ‘‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্দেশনা বান্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশাল জেলায় ৫ হাজার ৯৩৫টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের তালিকাভূক্ত করা হয়। যারমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৭৪১টি পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।