বরিশালের দুই শতাধিক বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ শ্মশান দিপালী উৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। নিরাপত্তার চাদরে থাকবে নগরীর কাউনিয়া নতুন বাজার আদি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
শনিবার (১১নভেম্বর) চতুদ্দর্শী পূণ্য তিথিতে শ্মশান দিপালী এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরার নজরে থাকবে পুরো এলাকা। এ অনুষ্ঠান রোবাবার রাত বারোটা এক মিনিটে কালীপূজা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে।
এদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে শতাধিক (বিএমপি) পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব, গোয়েন্দাসহ শ্মশান রক্ষা কমিটির নিজস্ব ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে ।
দিপালী উৎসবকে কেন্দ্র করে মাদক সেবন করা হলে বা সেবন করে শ্মশান এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করা হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে সোপর্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শ্মশান রক্ষা কমিটি।
ঐতিহ্যবাহী শ্মশান দিপালী উৎসব অনুষ্ঠানে অন্যান্য বারের মত ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক সমাগম হবে।
শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জী কুডু ও সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, দিপালী উৎসবকে ঘিরে মৃতদের স্মৃতিচিহ্ন রাখার সমাধীগুলো ধোয়া মোছাসহ নতুন করে নির্মাণ এবং রং তুলির ছোয়ায় ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় ২০৬ বছর পূর্বে ৫ একর ৯৫ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মহাশ্মশান। এ শ্মশানে ৩০ হাজার পাকাসহ মোট সমাধি রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। প্রয়াতদের স্বজন যারা বরিশালসহ সারাদেশে তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছেন তারা এইদিনে সমাধির পাশে এসে তাদের আত্মার শান্তির কামনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে প্রার্থনা করেন। কেউ পাঠ করেন গীতা। প্রার্থনা করে অনেক স্বজন প্রয়াতের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুরাও আসে প্রিয় প্রয়াতের জন্য প্রার্থনা করতে। শনিবার সন্ধারাত থেকে সারা রাত মোমবাতির আলোয় আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠবে পুরো শ্মশান।