মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডিস্ট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই) এর বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর সালমা কাদির মারা গেছেন। গত রবিবার (২আগস্ট) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
সালমা কাদির ১৯৬৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন সালমা কাদির। এই খাতে কাজ করা ভবিষ্যতের অনেক নেতৃত্ব তার হাত ধরে বেড়ে উঠেছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরএসসির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু অধিকার ও দৃষ্টি বিষয়ক ডিসিআই এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া তার বক্তব্য ছিল স্মরণীয়। তার আবেগ, সততা, প্রতিশ্রুতি, সংকল্প এবং শিশুদের প্রতি ভালবাসার জন্য আরএসসি ও ডিসিআই কর্মী, দাতা এবং দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার সহকর্মীদের প্রশংসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
ডিসিআই বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রফেসর এ. কে. আজাদ খান বলেন,‘সালমার মত নিবেদিতপ্রাণ মানুষকে হারানো এক অপূরনীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন প্রকৃত পেশাদারিত্ব ও মানবতার এক অনন্য মিশ্রণ।
আরএসসি এর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘আরএসসি এর জন্য পেশাদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি ও মমত্ববোধের সর্বোচ্চ দিয়ে সালমা কাজ করেছেন। তার সঙ্গে কাজ করা ছিল সত্যিই খুব আনন্দের। তাকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।
ডিসিআই এর প্রেসিডেন্ট ড. ব্রায়ান ডি ব্রফ বলেন, ‘সালমাকে হারানো সত্যিই বেদনাদায়ক। তিনি ছিলেন সদা হাস্যোজ্জ্বল।’ যে কোনও কঠিন কাজ শেষ করেতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।