বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মাহফুজ আলম লিটন।
মাহফুজ আলম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৫৯ ভোট। আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদ মাত্র ১ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে ভোটে চতুর্থ হয়েছেন। বিজয়ী মাহফুজল আলম উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। নৌকাকে হারিয়ে রেকর্ড গড়ে জিতলেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুুরুল আলম বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ২ লাখ ১৮ হাজার ৬১৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫৭ জন। প্রদত্ত ভোটের ৯০ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে ঘোড়া প্রতীকে। বিজয়ী মাহফুজ আলম (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৫৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হানিফ মিয়া (লাঙল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০ ভোট, বিএনপির ওয়াহিদ হারুন (ধানের শীষ) ২ হাজার ১৪৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদ (নৌকা) ১ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়েছেন।
নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুনসুর অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বহিষ্কৃত মাহফুজকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছেন। এমপির নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন।
মুনসুর আহমেদ আরও অভিযোগ করেন, এমপি পংকজ নাথের কর্মীরা সবগুলো কেন্দ্র দখল করে নেয়। তাদের ভোটার ছাড়া সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
বিএনপি প্রার্থী গোলাম ওয়াহিদ হারুন অভিযোগ করেন, সকালে ভোট শুরুর আগে আমার পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে তাদের বাধা দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথের লোকজন। কয়েকটি কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট প্রবেশের পর বের করে দেয়া হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুুরুল আলম বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হয়েছে।