বিলাতি গাববিলাতি গাব। নামে বিলাতি হলেও আমাদের গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে ফলটির বিস্তার চোখে পড়ার মতো।
কোন রকম যত্ন ছাড়াই অবহেলায় বিলাতি গাব বেড়ে ওঠে।সাধারনত আষাঢ় থেকে শ্রাবন মাস জুড়েই সিদুর মাখা বিলেতি গাব বাজারে উঠতে শুরু করে।
কোন রকমের বাড়তি পরিচর্যা ছাড়াই বরিশালে হাটে-বাজারে ফলটির প্রচুর দেখা মেলে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই ফলে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও আয়রন। গর্ভবতীমহিলাদের জন্য এই গাবের রয়েছে বিশেষ কার্যক্ষমতা।
বরিশালে এই বিলাতি গাবের তেমন কদর না থাকলেও রাজধানীবাসী কিন্তু এর স্বাদ-গন্ধে মুগ্ধ। বরিশালের বিলেতিগাবের তাই প্রধান গন্তব্য রাজধানী ঢাকা। বরিশালের চরকাউয়া, চন্দ্রমোহন, টুঙ্গিবাড়িয়া, চাদপুরা ও দিনারের পোল এলাকায় বরিশালের প্রধান গাবের হাট।
গাবের পাইকারী ব্যবসায়ী বজলু মিয়া বিডি ক্রাইমকে জানান প্রতিদিন অন্তত ২শ গাবের ঝুড়ি যায় ঢাকায় । দামে সস্তা, কেমিক্যাল মুক্ত, ক্ষেতে সুস্বাদু হলেও বিলাতি গাবের বাজার সীমিত হওয়ায় এর উৎপাদন স্থলে বাজার মূল্য পায়না সংশ্লিষ্টরা ।
বরিশালে গাবের ব্যাবসায়ীরা জানান ঢাকার আড়তদাররা দাম ঠিক করে দেয়ায় অনেক সময় লোকসান গুনতে হয় তাদের। তাদের মর্জি মাফিক ব্যাবসা চালাতে হয়।
বিলাতি গাব এর ফলে ঢাকার আড়তদাররা লাভবান হলেও মার খেয়ে যায় ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা। এবারে ফলন ভালো হলেও আড়তদার দর বেধে দেয়ায় মার খেতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় পর্যায়ে গাব সংগ্রহকারী ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে ব্যাবসায়ীরা ১৫ থেকে ২০ টাকা কুড়ি দরে গাবের কুড়ি কেনে। এক হাত ঘুরে ৬৫০ থেকে ৭০০ গাব ভর্তিঝুড়ি ঢাকায় যায় ১১০০-১২০০ টাকা দরে ।
ঢাকায় খুচরো পর্যায়ে গাবের হালি দাড়ায় ৬০থেকে ৮০ টাকায়। গ্রাম বাংলার অবহেলার,সস্তার গাব ঢাকায় এসে দুর্মূল্য হয়ে দাড়ায়।
গাব ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া জানান- গাবের হাট থাকলে তাদের দাম নিয়ে চিন্তা করতে হতো না । গাব ব্যবসায়ীদের তাই দেশীয় এই ফলটির উৎপাদকরা যাতে ন্যায্য দাম পায় তারজন্য সংশ্ষ্টিদের এগিয়ে আসা উচিত।