বরিশালের বাকেরগঞ্জের কৃষ্ণকাঠি এলাকার হানিফ শরিফের ছেলে রেজাউল শরিফ। পুলিশের কনেষ্টবল পদে চাকুরী হয় রেজাউলের।
চাকুরী কিছু দিন যেতে না যেতেই চাঁদাবাজির অভিযোগে চাকুরীচুত্য হয় রেজাউল।এর পরেই বেপরোয়া হয়ে উঠে এই চাকুরীচুত্য পুলিশ কনেষ্টবল। গত বেশ কিছু দিন পূর্বে এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলো। এর পরেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয় রেজাউল। ছুটে যান বাংলাদেল রাজধানী ঢাকায়।
সেখানে গিয়ে পুলিশের বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চালাতো চাঁদাবাজি। বেশ কয়েকবার আটক হলেও জামিনে বেরিয়ে এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়েই শুরু করে চাঁদাবাজি।
সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গেলে স্থানীয় জনতা আটক করে তাকে। এমন ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় রুহুল আমিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় শাহবাগ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) সামসুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে থানা পুলিশে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামরা দায়ের হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই মামলাসহ মোট ৬টি মামলার আসামী রেজাউল। একটি মামলায় তার ৩ বছরের সাজা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।