বরিশালের কীর্তনখোলা নদীভাঙন প্রতিরোধের কাজ যথা সময়ে শুরু না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ সময় তিনি তাদের কাজের বিষয়ে সতর্ক করে দেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বেলতলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে কীর্তনখোলা নদীভাঙন প্রতিরোধ কাজের উদ্ধোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। কাজটি শুক্রবার শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তিনি কাজের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী হাওলাদার, কীর্তনখোলা নদীভাঙনের কবল থেকে বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামাণিক এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (প্লানিং) নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন আল ফারুকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের আওতায় নগরীর বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া পর্যন্ত ৪.৫১ কিলোমিটার এলাকায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ ও ১২ লাখ ২০ হাজার সিসি ব্লক ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এবং নদীর অপর পাশে চরবাড়িয়া পয়েন্টে ৫.৬০ কিলোমিটার চর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা করা হবে।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে, ২০৯ কোটি টাকা। নির্ধারিত ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষে হলে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনের কবল থেকে স্থানীয় মানুষের সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা সংকট দূর হবে।