উন্নয়ন আর ক্ষমতায়নে নজড়কাড়া অগ্রগতি অর্জন করা এবং দেশের অর্থনৈতিক, শিক্ষা চাকুরি , সফল নারী জননী, নির্যাতন,  ও সমাজ উন্নয়নে সফলতা অর্জন করায় পাঁচটি ক্ষেত্রে বরিশাল বিভাগের সেরা পাঁচ জয়িতা নারীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে আরো ২৫ জয়িতাকে পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয়।

বরিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রম পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায় থেকে বাছাইকৃত বিভাগের সেরাদের নিয়ে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বরিশাল জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর । অনুষ্ঠানের সহযোগীতায় ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ।

‘তোমরাই বাংলাদেশের বাতিঘর’ স্লোগানকে সামনে রেখে সকাল ১০ থেকে শুরু হওয়া বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নারীদেও জয়জয়াকার চলছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের জয়যাত্রায় নারীদেও অবদান অসামান্য। তিনি আরো বলেন নারীরা এখন শিক্ষা,সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। নিজেদের দক্ষতা ও বিচার দিয়ে নিজেদেরকে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিতকরছে। প্রতিকুল পরিবেশের নারীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করছে। আজকের নারীরা আগামীর পথ চলায় আরো অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশারফ হোসেন, বরগুনা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: জাকির হোসেন, আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, অধ্যাপক শাহ শাজেদা প্রমুখ।

বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সৈয়দ আজিজুল হকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম। শিক্ষা চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিকারী নারী পিরোজপুর জেলার মানিক লাল ভট্রাচার্য্যরে মেয়ে  প্রিয়ংবদা ভট্রাচার্য্য। সফল নারী বিভাগে ঝালকাঠি জেলার মৃত: মৌজে আলী’র স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। নির্যাতন বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা বিভাগে  পটুয়াখালী জেলার মো: মজিবুর রহমানের স্ত্রী হাসিনা আক্তার। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার মং চিনথান এর স্ত্রী মায়া রাখাইন কে সন্মাননা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও জেলা পর্যায়ে শিক্ষা বিভাগে ঝালকাঠীর ড. কামরুন্নেছা আজাদ, পটুয়াখালীর সেলিনা আক্তার, বরিশালে আয়না সাহা, বরগুনার আজমিরা, ভোলার মনি মৃধাকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।

নির্যাতন বিভাগে বরিশালের জায়েদা বেগম, পিরোজপুরের হাসি বেগম, ভোলার আফিয়া খাতুন, বরগুনা’র নার্গিস আক্তার, ঝালকাঠি’র আনোয়ারা বেগমকে সংবর্ধনাপ্রদান করা হয়।

অর্থনীতি বিভাগে বরগুনার জেসমিন আরা, পটুয়াখালীর লাইজু, ঝালকাঠির সাইফা আলম গাজী, পিরোজপুরের শাম্মি আক্তার, ভোলার রুমানা জেসমিন কে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সফল জননী বিভাগে পিরোজপুরের গীতা, ভোলার রওশন আরা বেগম, বরিশালের জাহান আরা মজুমদার, বরগুনার আম্বিয়া খাতুন, পটুয়াখালীর শাহনাজ পারভীনকে সংবর্ধনাদেয়া হয়।

সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিরোজপুরের দিলরুবা মিলন নাহার , ভোলার মমতাজ বেগম, ঝালকাঠির রমা রানী দাস, পটুয়াখালীর কহিনুর, বরিশালের কহিনুর বেগমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এবছর বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচ জনকে ও জেলা পর্যায়ে ২৫জনকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।