আজ ১১ মে রবিবার দুপুর ২ টায় বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা অবস্থিত দুর্গাসাগর দীঘি পরিদর্শনে যান মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুজিত হাওলাদারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী দুর্গাসাগর দীঘির চারপাশ ঘুরে দেখেন পাশাপাশি দুর্গাসাগর দীঘিকে পর্যটনের একটি বড় স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে দুর্গাসাগর কে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে এর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দূর্গা সাগরের বিভিন্ন গাছে হাড়ি বেধে পাখির অভয়ারন্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একাজের শুভ সূচনা করেন। জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান।
জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দূর্গা সাগর কে নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন চিঠিপত্র পাঠিয়েছে এরিমধ্যে। তিনি দীঘীর উন্নয়ন এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। জেলা প্রশাসক বরিশাল জানিয়েছেন চলতি মাসে দুর্গা সাগর’ উন্নয়নে একটি বড় প্রকল্প আসার কথা। বরিশাল শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে স্বরূপকাঠি – বরিশাল সড়কে এর অবস্থান। শুধু জলাভূমির আকার ২৭ একর। পার্শবর্তী পাড় ও জমি সহ মোট আয়তন ৪৫.৪২ একর। ১৭৮০ সালে চন্দ্রদ্বীপের পঞ্চদশ রাজা শিব নারায়ন এই বিশাল জলাধারটি খনন করেন।
তার স্ত্রী দুর্গামতির নামানুসারে এর নাম করন করা হয় দুর্গাসাগর। ১৯৭৪ সালে তৎকালিন সরকারের উদ্যোগে দিঘীটি পুনরায় সংস্কার করা হয়। বর্তমানে “দুর্গাসাগর দিঘীর উন্নয়ন ও পাখির অভয়ারন্য” নামে একটি প্রকল্পের অধিনে বরিশাল জেলা প্রশাসন দিঘীটির তত্ত্বাবধান করছে।সম্পূর্ণ দিঘীটি উঁচু সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেড়া। এই দুই দিকে প্রবেশের জন্য দুইটি গেট আছে। দিঘীর মাঝখানে জঙ্গলপূর্ণ একটি ছোট দ্বীপ আছে। শীতকালে এখানে অতিথি পাখির সমাগম হয়। চৈত্রমাসের অষ্টমী তিথীতে হিন্দু ধর্মালম্বীরা এখানে পবিত্র স্নানের উদ্দেশ্যে সমবেত হন।