বরিশালের ডিআইজি আমার সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে বে-আইনি ভাবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উৎখাত করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে।
এমনকি আমাকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমি খালি করার জন্য কোন লিখিতভাবে নোটিস না করে তারা অবৈধভাবে আইনের প্রভাব খাটিয়ে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুত ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ব্যবসার ক্ষতি সাধিত করার কারনেই আমি আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।
মঙ্গলবার দুপুরে তার মালিকানাধীণ দি রিভার ক্যাফে চাইনিজ রেঁস্তোরায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘আমার মালিকানাধীণ দি রিভার ক্যাফে রেস্টুরেন্টের ভবনের জমির মালিক জেলা পুলিশ হলেও রেস্টুরেন্ট ভবন ও যাবতীয় ডেকরেশন আমার নিজ অর্থ ব্যয়ে করা। এই জমির উপর আমার নিজ অর্থে উক্ত ক্যাফেটেরিয়া ডেকোরেশন, ফিনিসিং এর কাজ সম্পন্ন করি। কাজটি ২০০৭ এ শুরু হয় এবং ২০০৮ এ শেষ হয়।
উল্লেখিত ভাড়াটিয়া প্রমিসেস ভাড়া নেওয়ার জন্য আগ্রহী হলে পুলিশ সুপারের সাথে আমার ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়। যার মেয়াদ ছিলো ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এই চুক্তিপত্র ২০১১ সালে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয় এবং পরবর্তীতে চুক্তিপত্রটি ২০২৮ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উক্ত চুক্তিপত্রের ১৭ দফায় উল্লেখ করা আছে যে, চুক্তির মেয়াদের মধ্যে পুলিশ সুপার আমার ব্যবসার কোনো বিঘœ সৃষ্টি করতে পারবে না। যদি করে তাহলে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন। আমি নিজ তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এই প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেছি। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট আমার প্রতিষ্ঠানের পাওনা রয়েছে।
এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে ১শ জন জীবিকা নির্বাহ করে। ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ ২০১৫ সালের ৫১৭৭নং স্মারকের অনুবলে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স ২০১৬ সালের ৪৬৭১নং স্মারকে আমার সাথে পুলিশ সুপারের চুক্তি বাতিল করেন। পুলিশ সুপার চুক্তিপত্র বাতিলের চিঠি আমার বরাবর প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আমি উল্লেখিত স্মারকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৪৯৭/২০১৬ দায়ের করলে হাইকোর্ট চুক্তিপত্র বাতিলের আদেশ স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
যাহা এখনো বলবৎ আছে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ২০১৯ সালে ৭৪৩২নং স্মারকের মাধ্যমে ক্যাফেটরীয়ার পিছনের অংশ জরুরী ভিত্তিতে অপসারণ করার জন্য আমাকে পত্র প্রেরণ করে। কিন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় এমন চিঠি আমাকে প্রেরণ করতে পারে না।’ বাপ্পী আরো বলেন, ‘চুক্তিপত্রের মেয়াদ মোতাবেক পানির লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ পুলিশ সুপার আমাকে প্রদাণ করতে বাধ্য। কিন্ত পুলিশ সুপার পানির লাইন বন্ধ করার জন্য এবং ভাড়াটিয়া প্রেমিসেসটির পিছনের অংশ ভঙ্গ ও অপসারণ করার পায়তারায় লিপ্ত আছেন। বিধায় আমি বাধ্য হয়ে বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আমার পানির লাইন কর্তন করা হয়েছে। ফলে আমার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমি পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।