বরিশালের উন্নয়নের জন্য পত্র-পত্রিকায় কোন লেখালেখি হয়না; পিআইবি মহাপরিচালক

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

শামীম আহমেদ: একুশে পদকপ্রাপ্ত (কবি) সাংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, পদ্ধাসেতু হলে নাকি এখানকার অনেক কিছু বদলে যাবে।

এখানে যদি কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান -কলকারখানা গড়ে না উঠে তাহলে কি করে বদলে যাবে বরিশালের পরিস্থিতি সেধররনের কোন লেখালেখি একানকার কোন পত্র-পত্রিকায় দেখা যায় না। যা দেখে মানুষ এখানে এসে টাকা লগ্নি করবে। কেন বাহির থেকে এখানে এসে বড় বড় ব্যাবসায়ীরা সে টাকা লগ্নি করবে সে বিষয়ে শুধু জানতে পারবে সংবাদ-পত্রের মাধ্যমে জানার উপায় রয়েছে।

তাছাড়া বরিশাল থেকে অনেকগুলো পত্রিকা প্রকাশ হয় যা সমৃদ্ধ দেখেছি কিন্তু সেগুলো দেখে মনে হয় এখানকার পত্রিকার ছাপা ও মুদ্রনের মান যথাযথ নয়।
তিনি আরো বলেন একটি মিথ্যা ভূয়া গুজব সংবাদের মাধ্যমে সমাজের ব্যাপক ক্ষতি করে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এসময় একটি জাতীয় পত্রিকার উদাহরন টেনে বলেন,এদেশের একটি প্রথম শারির পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ঔষধি গাছ ঢোল কলমি আজ শেষ হয়ে গেছে।

অপরদিকে সংবপাদ পত্রের লেখালিখের কারনে এদেশের অধিকাংশ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধও হয়েছে। তবে সংবাদ পত্রের শিল্পে সরকারের পক্ষ থেকে পৃষ্টপোষকতা না থাকলে এদের বাছিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়বে।

আজ রবিবার (১৭) জানুয়ারী সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজ ধাঁনসিড়ি মিলনায়ন সভা কক্ষে বরিশাল বিভাগের সম্পাদক,ও নির্বাহী সম্পাদকদের সাথে শিশু ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক সংলাপ আনুষ্ঠানের সভা প্রধানের বক্তব্যতে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ মহবুবুর রহমান, ও পিআইবি সহকারী প্রশিক্ষক বারেক কায়সার।

পিআইবি মহাপরিচালক আরো বলেন, কবি জীবনানন্দ দাস বরিশালে মূল্যায়ন পায়নি বলেই বরিশাল ছেড়ে গিয়েছিল এর তার পরেও জীবনানন্দ বেচে আছেন। একারই বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের নাম বাংলার করি জীবনানন্দ দাশের নামে করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।

বরিশাল একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প সাংস্কৃতিক সাহিত্য অঞ্চল বিভাগ হয়েছে বরিশাল একটি বিভাগীয় শহরে যা উন্নয়নের কথা ছিল তা এখানে কিছুই হয়নি বলে মতামত ব্যাক্ত করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন করোনা আমাদের অনেক মানুষের জীবন কেড়ে নিলেও সমাজের মানুষদের মাঝে সচেতনতার সৃষ্টি করেছে।
তিনি নারীদের প্রসঙ্গে বলেন আমাদের দেশে একসময় মহিলারা কৃর্তদাশ ছিল তারা যুগে যুগে হয়েছে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।

ভাবতে হবে একজন মহিলা একজন পুরুষের চেয়ে ঘড় থেকে শুরু করে অনেক বেশি কাজ করে থাকেন তাই তাদেরকে আর অবহেলা করে রাখার কোন সুযোগ নেই।
পরে অংশ নেয়া স্থানীয় পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক প্রতিনিধিরা মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথাগুলো বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন।