বরিশালের আদি লোকজ সংস্কৃতি যাত্রা শিল্পীদের রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মোঃ শাহাজাদা হিরা.

দক্ষিণাঞ্চল শিল্পী পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান হাকিম মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিল্পী পরিষদের বক্তারা বলেন তাদের এই যাত্রা শিল্পকে বাচাঁতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত প্রয়োজন, পাশাপাশি এশিল্পের অশ্লিনতা বা নগ্নতা বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারীভাবে যাত্রা পালার সরকারী অনুমতি সহজ শতেৃ প্রদান করা, এই শিল্প ও শিল্পীদের অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয়ভাবে সম্মানোনা প্রদান ও এই শিল্প সংস্কৃতিকে বাচাতে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা করা সহ ৯ দফা দাবী পুরন করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

এই সময় আরো বক্তব্য রাকেন সিনিয়র সহ-সভাপতি (বীরমুক্তিযুদ্বা) আলমগীর মোল্লা, সাধারন সম্পাদক (বীরমুক্তিযুদ্বা) মনোয়ার খান, কার্যকরী কমিটি সভাপতি এম,এ,হাদী, হাবীবুর রহমান হাবীব, রাজু মৃধা, গৌতম দাস, জীবন মালি ও শিপন। বক্তারা বর্তমান সংস্কৃতিক বান্ধব প্রধান মন্ত্রী ও সরকারের নিকট এই যাত্রা শিল্পকে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে বাচিয়ে রাখতে সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার দাবী জানান।

বরিশাল সহ বাংলাদেশের আদি লোকজ সংস্কৃতি যাত্রা শিল্পকে রক্ষা করা সহ যাত্রা শিল্পীদের বাচিয়ে রাখা এবং ৯ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা সহ স্বরাস্ট্র ও সংস্কৃতিক মন্ত্রালয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বারকলিপি দিয়েছে বরিশাল দক্ষিণাঞ্চল শিল্পী পরিষদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে দক্ষিণাঞ্চল শিল্পী পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান হাকিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিল্পী পরিষদের সদস্যরা।

জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী একটি উদ্বৃতীতে বলেছিলেন গনযোগাযোগের ক্ষেত্রে যাত্রা একটি শক্তিশালী গনমাধ্যম,যাত্রা এদেশের একটি “স্টাইলাইজড আর্ট ফার্ম”। মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিল্পদের দেয়া স্বারকলিপি থেকে জানা যায় এই যাত্রা শিল্পদের মাধ্যমে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সচেতনতা সৃষ্ঠি করে ছিল।

তারা আরো বলেন আমাদের দেশে সংস্কৃতিক মন্ত্রালয় আছে,আছে শিল্পকলা একাডেমি, সেদেশে বাংলার লোকজ সংস্কৃতি যাত্রা, জারি, পুতুল নাচ, সার্কাস সরকারী অুমতির অভাবে ও দুর্নীতিবাজ কিছু সংক্ষক আয়োজকদের কারনে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প বাংলা থেকে বিলীন হয়ে যাওযার পথে দাড়িযেছে।আর এমনিভাবে চলতে থাকলেকেদিন এই শিল্পকে যাদুঘরে খুজতে হবে।

পড়ে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে স্বরাস্ট্র ও সংস্কৃতিক মন্ত্রালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।