বরিশালের অক্সফোর্ড মিশন চার্চে লুসি হল্টকে দেখতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

আজ ১৪ আগস্ট দুপুর ১২ টায়, অসুস্থ ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে দেখতে অক্সফোর্ড মিশন চার্চে যান পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, জাহিদ ফারুক শামীম (এমপি) এবং তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক সমাজসেবা অধিদফতর বরিশাল, আল মামুন তালুকদার, প্রাবেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সুব্রত বিশ্বাস দাস, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বরিশাল, পঙ্কজ রায় চৌধুরী, সাজ্জাদ পারভেজসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অসুস্থ ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হল্ট এর সাথে দেখা করেন, এসময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী তার সার্বিক খোজ খবর নেন তার সাথে একান্তে কথা বলেন। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অক্সফোর্ড মিশন চার্চের ফাদারের সাথে লুসি হল্টকে সবধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য বলেন। পাশাপাশি লুসি হল্ট এর সবধরনের প্রয়োজনে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। কিছুদিন পূর্বে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক ভাবে চেকাব করেন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দেন।

তার উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা প্রশাসন বরিশাল সবধরনের সহায়তা প্রদান করবেন, কিছু দিনের মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরিশাল। ৫৭ বছর ধরে এ দেশে মানুষের সেবা করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধাহত ব্যক্তিদের শুশ্রূষা করেছেন। মানবদরদি এই ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট। ৮৭ বছর বয়সী লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে।

বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। দুই বোনের মধ্যে ছোট লুসি। তাঁর বড় বোন রুত অ্যান রেভা ফেলটন স্বামী ও তিন ছেলে নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। লুসি ১৯৬০ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে। এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পড়াতেন। এরপর ২০০৪ সালে অবসর নেওয়ার পর তিনি আর দেশে ফিরে যাননি। বর্তমানে বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিশুদের ইংরেজি পড়ান। এর জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না। শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহেরও কাজ করছেন তিনি। ৫৭ বছর ধরে ঘুরে ফিরে তিনি কাজ করেছেন যশোর, খুলনা, নওগাঁ, ঢাকা ও গোপালগঞ্জে। এখন এই দেশের মাটিতেই তিনি সমাহিত হতে চান। এটাই তাঁর শেষ ইচ্ছা বলে জানিয়ে ছিলেন।