শনিবার দুপুরের পর থেকেই রাজধানীতে মেঘের ঘনঘটা ছিল। রোদের দেখা নেই। এই মনে হচ্ছে ঝুম বৃষ্টি এলো, আবার এই যেন মেঘ সরে গিয়ে রোদের দেখা মিলবে। কিন্তু সেই বৃষ্টি হলো বেশ জোরেসোরেই।
শীতের পর আজই হলো প্রথম বৃষ্টি। তাও আবার ঝড়ের পর। এদিকে ঝড়ো হাওয়ার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার বিকাল ৪টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।এছাড়া ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং খুলনা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় বিভিন্ন এলাকায়। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
তবে সমুদ্রবন্দরে কোনো সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।রোববার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
বর্ধিত পাঁচদিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।এদিকে হটাত করেই বৃষ্টির কারনে মশার উপদ্রবে অতিষ্ট নগরবাসীর কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও মশা থেকে মুক্তি মিলছে না।
ওষুধ-কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না মেগাসিটি ঢাকার কোটি মানুষ। ঠিক এই সময়ে বৃষ্টি অনেকের কাছে স্বস্তির বৃষ্টি হিসেবেই আভির্ভূত হয়েছে। নগরবাসীর প্রত্যাশা, এই বৃষ্টিতে বরিশালে মশার উপদ্রব কিছুটা হলেও কমবে।