বরগুনা-১ আসনের আ.লীগ প্রার্থীসহ নয়জনকে শোকজ

লেখক:
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নয় নেতাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ১০৯ বরগুনা-১ চেয়ারম্যান।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি বরগুনা-১ ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আহমেদ সাঈদ স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ছাড়াও বরগুনা, আমতলী ও তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের আট নেতাকে আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

শম্ভু ছাড়া অপর আটজন হচ্ছেন-আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম হাসান, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, মনিরুজ্জামান মিন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ, মো. আ. বারেক মাঝি, সাধারণ সম্পাদক, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, আব্বাস হোসেন মন্টু, সভাপতি বরগুনা জেলা শ্রমিক লীগ এবং আজিজুল হক স্বপন, চেয়ারম্যান ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, বরগুনা সদর।

কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়-আপনারা ৯/১২/২৩ তারিখ সকাল-১০টা থেকে বিকেল-৩-৩০ মিনিট পর্যন্ত তালতলী খাদ্য গুদাম সংলগ্ন কলাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠানের নাম করে নির্বাচনী প্রচারণামূলক সভা করে নির্বাচনে জয়লাভের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকুর পক্ষে অ্যাড. হুমাউন কবির অভিযোগ করেন।

একই সভায় আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট দিতে দেবেন না, ১৮ তারিখের পর খেলা শুরু হবে, আওয়ামী লীগের বাহিরে কিছু হবে না বলে বক্তব্য দেন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হুমকিসহ নির্বাচনী প্রচারণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

আপনাদের নির্বাচনী আচরণবিধ লঙ্ঘনের বিষয়ে অ্যাড. হুমাউন কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকুসহ দুইজন স্থানীয় ব্যক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন। আগামী তিনদিনের মধ্য অনুসন্ধান কমিটির কাছে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই আল-হাদী বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। অভিযুক্ত প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দিতে হবে।