#

বরগুনার তালতলীতে সন্ত্রাসীদের হামলা ও নির্যাতনের ভয়ে পাঁচ পরিবার বাড়ি ছেড়ে থানায় আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার বেলা এগারোটার দিকে ভুক্তভোগী পাঁচটি পরিবারের ২৫-৩০ জন সদস্য থানায় এসে অবস্থান নেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিয়ান চালিয়ে তেতুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত মাদকসেবী নুর হোসেনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে।

জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের মোতালেব প্যাদা ও নুর হোসেন গংরা নেশায় আসক্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী আবু জাফর হাওলাদার, লোকমান হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, এনায়েত হোসেন ও আলম মাঝির পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে পাশবিক নির্যাতন করে আসছে। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে ভুক্তভোগী ৫ পরিবার ও এলাকাবাসীসহ প্রায় শতাধিক লোক থানায় এসে এমন অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী আবু জাফর হাওলাদার জানান, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বলায় সন্ত্রাসী নুর হোসেন সহ মাদকসেবীরা মাতাল হয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও ছেনা নিয়ে এই সকল পরিবারের নিকট চাঁদা দাবি করে। হামলা ও নির্যাতনের আশংকা থেকে রেহাই পাওয়ার আশায় মঙ্গলবার নুর হোসেনকে ১ হাজার ৫ শত টাকা চাঁদা দেয়। টাকার কম হওয়ায় ওইদিনই ভুক্তভোগী পরিবারের নারী ও শিশুদের ওপর লোহার পাইপ দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় মাদক সেবীরা। এ নির্যাতন সইতে না পেরে পাঁচটি পরিবার তাদের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে আশ্রয় নেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী জানান, মোতালেব প্যাদা ও নুর হোসেন গংরা নেশাখোর, চাঁদাবাজ ও দস্যু প্রকৃতির। ওরা স্থানীয় কোন বিচার ব্যবস্থার তোয়াক্কা করে না।

তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত নুর হোসেনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আরো যারা জড়িত আছে তাদের আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন