বরগুনার তালতলীতে নানা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ৮ দিন যাবত শিশু সন্তানসহ জেসমিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ রয়েছেন। স্ত্রী সন্তান নিখোঁজ থাকায় তার স্বামী পাগল প্রায়। এ ঘটনায় তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্বামী ইব্রাহিম মাতুব্বর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ বছর পূর্বে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সেরাজ মাতুব্বরের ছেলে ইব্রাহিম মাতুব্বরের সঙ্গে একই এলাকার মো. চুন্নু মিয়ার মেয়ে জেসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল তাদের। গত ৬ বছরে তাদের কোলজুড়ে এসেছে ৩ বছরের একটি মেয়ে ও ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান।
গত ৯ মার্চ সকালে একই এলাকায় তার নানা বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ৩ বছরের কন্যা জান্নাতিকে বাড়ি রেখে শিশুপুত্র ইয়াছিনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন দুপুরেই ইব্রাহিম মাতুব্বর তার নানাশ্বশুর বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী এ বাড়িতে আসেনি।
পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজ পায়নি। পরে তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্বামী ইব্রাহিম। নিখোঁজ জেসমিনের স্বামী ইব্রাহিম মাতুব্বর বলেন, আমার স্ত্রী তার নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে শিশু পুত্রকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে।
এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ করনে তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি। তিনি আরও বলেন, বরগুনার একটি ছেলের সঙ্গে জেসমিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হয়তোবা সেই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে জেসমিন পালিয়ে গেছে। এখন আমার স্ত্রীর দরকার নেই শুধুমাত্র আমার সন্তানকে চাই।
এ বিষয় জেসমিনের নানি রাবেয়া বলেন, একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এটা শুনেছিলাম। তবে বর্তমানে আমার নাতনি জেসমিন কোথায় আছে আমি জানি না। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।