বরগুনায় চলাচলের জন্য নির্মিত সড়কে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেওয়াতে তিন পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
রোববার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে ওই সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই সড়কটি হেরিংবোন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর সম্প্রতি মেয়রের অনুমতি নিয়ে তারা এই সড়কটি পাকা করেছেন। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ সড়কের দুদিকে দেয়াল তুলে দিয়েছেন। চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো পথ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রাস্তার চলাচলকারীরা।
ভুক্তভোগী আবদুল খালেক জানান, ২৭ বছর ধরে এই পথ দিয়ে যাতায়াত করা হয়। মেয়রের অনুমতি নিয়ে এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এখন গণপূর্তের লোকজন সড়কের দুই পাশে দেয়াল তুলে দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, বরগুনার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান আলী সড়কে তার (আবদুল খালেক) বাড়ির সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০০৪ সালে পৌর চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান মিয়া গণপূর্ত বিভাগের পরিত্যক্ত এক জলাশয়ের মাঝ দিয়ে ইট দিয়ে হেরিংবোন রাস্তা নির্মাণ করে দেন।
২০১০ সালে দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাস্তাটি সিসি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সড়কটির পাইলিং (প্যালাসাইডিং) কাজ করানো হয়। বরগুনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেনের মৌখিক অনুমোদন নিয়ে আরসিসি করান ওই তিন পরিবার।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যেখানে ওই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে সেটা গণপূর্ত বিভাগের জমি। গণপূর্ত বিভাগের কোনো অনুমতি না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এই সড়ক নির্মাণ করেছে। যে কারণে জমি উদ্ধার করে তা সংরক্ষণের জন্য সড়কের দুই মাথায় দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক খালেদা জান্নাতী বলেন, ‘এমনভাবে দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে আমাদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে বিকল্প কোনো সড়কও নেই যে, যা দিয়ে চলাচল করবো।’
এ বিষয় পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সকল পৌর নাগরিকের চলার পথ করে দিতে হবে। এভাবে পথ আটকানোটা ঠিক হয়নি। আমি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে দেখা করবো।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাজিদার রহমান বলেন, ‘আমাদের জমি দখল করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে তা দখল মুক্ত করে আমরা দেয়াল তুলে দিয়েছি।’