র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী
পরিচালক জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৯ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:০০ ঘটিকার সময়
বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন আড়পাঙ্গাশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৫০) নামে ম্যাগনেট পিলার প্রতারণা চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। এসমর তার নিকট হতে একটি পিলার, দুইটি চুম্বক চাকতি এবং চুম্বক টেষ্ট কিট জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ ফরিদ উদ্দিন পিতা মৃত সামসু মোল্লা এর বাড়ি বরগুনা জেলার,আমতলী থানাধীন আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামে ।
উল্লেখ থাকে যে, আসামি মোঃ ফরিদ উদ্দিন আমতলী থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই ম্যাগনেট পিলার ও পিলারের মধ্যের চুম্বক চাকতি দিয়ে প্রতারণার করে আসছিল। কতিথ এই পিলারে অবস্থিত চুম্বক চাকতি অতিউচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যা কিনা শুকনো ধানকেও আকৃষ্ট করতে পারে এবং একেকটি চুম্বকের মূল্য কোটি টাকার উপরে বলে প্রচলিত আছে। তারা ব্যবসায়ীদের কৌশলে নিজ এলাকায় নিয়ে আসে এবং স্যাম্পল হিসেবে চুম্বকের চাকতি দেখায়। এই চাকতির গায়ের খোদাই করে লেখা থাকে EAST INDIA COMPANY ; এবং মাঝে লেখা থাকে DANGER। চুম্বটি যে আসল তা প্রমান করতে যে টেষ্ট কিট হিসেবে ব্যবহার করে শুকনো ধান যা একটি কাচের টিউবের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় চাকতিগুলো তারা নিজেরাই তৈরী করে এবং যে ধানগুলো দিয়ে টেষ্ট করা সেগুলোর ভিতরে পূর্ব থেকেই সূক্ষভাবে লোহা জাতীয় পদার্থ ঢুকানো থাকে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড়, বড় ব্যবসায়ীরা এই চুম্বকের প্রতারণা চক্রের ফাদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একটি চৌকস আভিযানিক দল মোঃ ফরিদ উদ্দিন কে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি তার অপরাধ স্বীকার করে এবং তার নামে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(খ) ধারায় একটি মামলা হয়েছে।আসামিকে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৮ জানায় এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।