জমি নিয়ে বিরোধে সাজানো অপহরণ মামলা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন বাদী রুনু বেগম ও তার স্বামী হুমাউন কবির।
বরগুনার বেতাগীর বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বেতাগী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস ছালাম অপহরণ মামলার তদন্ত করে আদালতে বাদীর অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গতকাল ১৪ অক্টোবর বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেন আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন গ্রহণ করে মামলার বাদী রুনু বেগম ও তার স্বামী হুমাউন কবিরের বিরুদ্বে পেনান কোডের ২১১ ধারায় বাদী ও অপহৃত হুমাউন কবিরের বিরুদ্বে ননএফআইয়ার মামলার নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশ দেয়ার আগেই রুনু বেগম ও তার স্বামী হুমাউন কবির আদালত থেকে সটকে পড়ে আত্মগোপন করেন।
মামলার বর্ণনায় জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ জুলাই একই গ্রামের আ. কুদ্দুস, ইসমাইল, কবির, নাসির, ইউনুছ আলী, জাকির ও রাজিবের বিরুদ্ধে রুনু বেগম তার স্বামী হুমাউন কবিরকে অপহরণের অভিযোগে আদালতে নালিশী আবেদন করেন। আদালত বেতাগী থানাকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রুনু বেগম ও তার স্বামী হুমাউন কবির যোগসাজশে অপহরণের সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আপোস মিমাংসার কথা শুনে হুমাউন বাড়িতে আসে।
পরে ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপহৃত (ভিকটিম) হুমাউন কবির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন, জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে দিয়ে সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় উদাহরণ হয়ে থাকবে।