অনলাইন ডেস্ক : বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৫ মে) রাত ৮ টার দিকে বরগুনা টাউন হল সংলগ্ন কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অদ্বক্ষ নার্স ও ডাক্তারের অপঃচিকিৎসার কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
সুখি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী ইউনিয়নের শাহীন মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বামী শাহীন মিয়া জানান, প্রসব বেদনা শুরু হলে সকাল ১১টার দিকে দ্রুত সুখিকে বরগুনা কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা নীরিক্ষার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করতে হবে জানায়। দুপুর একটার দিকে প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। দুপুর দু’টার দিকে ভূমিষ্ঠ হওয়া একটি ছেলে সন্তান স্বজনদের কাছে দেয়া হয় এবং জানানো হয় রোগী সুস্থ আছেন।
সন্ধ্যার দিকে হঠাতই জানানো হয় রোগীর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনহীন তাঁকে বরিশাল সেবাচিমে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে দ্রুত এম্বুলেন্স ঠিক করে দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
এসময় রোগীর স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহীন মিয়ার অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অস্ত্রোপচারের জন্য সুস্থ না করেই বিপজ্জনক অবস্থায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এ কারণেই সুখির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান। এদিকে এ ঘটনার পরপরই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিকে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়ে ক্লিনিকের ভাঙচুর চালায়. পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি রোগীর ফাইলে চিকিৎসক হিসেবে ডাক্তার সাফিয়া বেগমের নাম দেখানো হয়েছে। তবে সাফিয়া বেগম বা ক্লিনিকের ম্যানেজার অথবা পরিচালক কারো সাথেই কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকটি অপঃচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। আমরা ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছি। স্বজনরা অভিযোগ করলে আমরা ব্যাবস্থা গ্রহন করবো
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।