বরগুনায় বিয়ের দাবিতে জামালপুরের তরুণী, প্রেমিকের বাড়িতে তালা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

জামালপুরের এক তরুণী বিয়ে দাবি নিয়ে বরগুনায় গিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রের বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি লঞ্চযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় আসেন।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজার সংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় ওই ছাত্রের বাড়ির সামনে তিনি এখনো অবস্থান করছেন। তবে ওই তরুণী আসার পরপরই বাসায় তালা দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে ওই ছাত্রের পরিবার।

 

তরুণী জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তাঁর গ্রামের বাড়ি। ঢাকার উত্তরায় থাকেন এবং সেখানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ছেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিটি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে তরুণীর প্রেম হয়।

মাহমুদুল হাসানও রাজধানীর উত্তরায় থেকে পড়াশোনা করেন। তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের জন্য সম্প্রতি চাপ দিলে মাহমুদুল নানা অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকেন। রোজার শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। কয়েক দিন ধরে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ।

এরপরই তরুণী বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনায় এসে চান্দখালী বাজার সংলগ্ন মাহমুদুলের বাসায় অবস্থান নেয়। এরপরই মাহমুদুল ও তাঁর পরিবার বাসায় তালা দিয়ে গা-ঢাকা দেয়। তরুণী বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি। ও আমায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তিন বছর ধরে আমাদের রিলেশন।

আমি সর্বস্ব খুইয়ে এখন নিরুপায় হয়ে এখানে এসেছি। বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে না তুললে এখানেই আত্মহত্যা করব।’ আজ শুক্রবার দুপুরে মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে বাসা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই তরুণীর নিরাপত্তা ও আইনগত সহায়তার জন্য আমি বেতাগী থানার ওসিকে বলেছি। বিষয়টি সমাধানে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

 

বেতাগী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘চান্দখালী ফাঁড়ির ইনচার্জকে পাঠিয়ে তরুণীর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।

তাঁকে আইনগত সহায়তা দিয়ে পরিবারের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’