বরগুনায় বিয়ের দাবিতে অনঢ় সেই তরুণী গ্রেফতার

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মাহমুদ হাসানকে বিয়ের দাবিতে তাদের ভাড়া বাসায় এসে অবস্থায় নেওয়া শিখা আক্তার মৌকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়েটির আগের স্বামী-সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৩ মে) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম। তিনি জানান, ওই তরুণীকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১০ মে) বরগুনার আদালতে মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন খান তাদের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ করেন ওই তরুণীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ আমলে নিয়ে ওইদিনই বেতাগী থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বরগুনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম।

 

একই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন ওই বিচারক। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালিতে মাহমুদ হাসানদের ভাড়া বাসায় বিয়ের দাবিতে অবস্থায় নেন জামালপুরের তরুণী শিখা আক্তার মৌ।

ছেলে ও তার বাবা-মা এরপর আত্মগোপন করায় স্থানীয়রা ওই বাড়ির তালা ভেঙে একটি রুমে মেয়েটিকে ঢুকিয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন ওই বাসায় আসেন এবং ওই তরুণীকে পুত্রবধূ বানাতে তার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ার কাগজ ও অভিভাবকদের নিয়ে আসার শর্ত দেন।

 

ওই সময় ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তার গ্রামের বাড়ি। ঢাকার উত্তরায় থাকেন এবং সেখানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে তার প্রেম হয়। মাহমুদুল হাসানও রাজধানীর উত্তরায় থেকে পড়াশোনা করেন।

তিন বছর ধরে তারা লিভিং রিলেশনে থাকার পর বিয়ের জন্য সম্প্রতি চাপ দিলে মাহমুদুল নানা অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকেন। রোজার শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন।

কয়েকদিন ধরে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ। এরপরই তরুণী বরগুনায় এসে চান্দখালী বাজার সংলগ্ন মাহমুদুলের ভাড়া বাসার সামনে অবস্থান নেন। উপায় না দেখে মাহমুদুল ও তার পরিবার বাসায় তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি বাবা বাসায় ফিরলেও মাহমুদুল লাপত্তা। এর আগে মেয়েটি জানিয়েছিলেন, তার তিন বছরের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাস ছয়েক আগে তার সঙ্গে আগের স্বামীর বিচ্ছেদ হয়েছে।