বরগুনায় বাবাকে মারধর করায় ছেলেকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

:
: ২ years ago

বরগুনায় বাবাকে মারধর করায় ছেলে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে প্রতিবেশীরা। সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের সুরেশ্বর বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছেলে শাহীন খান (৩৫) একই এলাকার সালাম খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শাহীন প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাবা সালাম খানকে মারধর করত। স্থানীয় গন্যমান্যরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও শাহীন তাদের কথায় কোন কর্নপাত করেনি। এরপর সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে বাবার কাছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে শাহীন। বাবা সালাম খান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কোদালের বাট দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শাহীনকে আটক করে পুলিশকে জানায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ফারুক, কালাম মোল্লা, রাজু, ফাহাদ, রাজিব সহ কয়েকজন স্থানীয় বলেন, শাহীন অনেকবার তার বাবাকে মারধর করেছে। আমরা স্থানীয়রা বহুবার বাঁধা দিলেও শাহীন কারও কথা শুনত না।

সোমবার রাতে পুনরায় শাহীন তার বাবাকে মারধর করলে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। পরে বরগুনা থানা পুলিশ শাহীনকে নিয়ে যায়। ভবিষ্যতে কোন সন্তান যেন তার বাবার গায়ে হাত তুলতে না পারে সেজন্য শাহীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ভুক্তভোগী বাবা সালাম খান বলেন, কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে বিয়ে দেই। ওর (শাহীনের) দাবি ওই বিয়েতে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিয়েতে সর্বোচ্চ ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এতে আমিও টাকা দিয়েছি। কিন্তু ও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দেওয়ায় আমাকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এর আগেও আমাকে একাধিক বার মারধর করেছে আমার ছেলে। এমন ছেলে জন্ম দিয়ে পাপ করেছি।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।