বরগুনা সদর উপজেলার ৮নং ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের আহসান হাবির দেড় একর জমিতে আম, জাম ও নানা ফলের বাগান করায় সেই ফল রক্ষায় জালের ফাঁদে মারা পড়েছে হরেক রকমের পাখি। পাখি পরিবেশ রক্ষার এক উপকারী প্রাণী।
এই ফলের বাগানে ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক, বুলবুলি পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করে। পাখির হাত থেকে ফল রক্ষার জন্য গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
এতে ফল খেতে আসা প্রাণীগুলো জালে আটকা পড়ে মারা পড়ছে। পাখির মধ্যে শালিক ও বুলবুলির সংখ্যাই বেশি। পাখি হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাখি পরিবেশ রক্ষার জন্যে এক উপকারী প্রাণী রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের।
প্রতি বছর বাগানের ফল পাখির হাত থেকে রক্ষার জন্য এভাবে জাল দিয়ে ঢেকে দেন বাগান মালিক। এতে বিভিন্ন ধরনের পাখি সেই জালে আটকা পড়ে মারা যায়।
পাখি ক্ষেতের কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে। আর এই ফল রক্ষার জন্য এভাবে পাখি হত্যা করা হচ্ছে।
ফল রক্ষার জন্য বাগানের গাছগুলো জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। জালে পাখি আটকে মারা যাচ্ছে। বাগানের পাশে আটকে পড়া পাখি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আবার ভয় দেখানোর জন্য সেই মৃত পাখি লাঠির মাথায় বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের বাসিন্দা আহসান হাবিব এক সময় কোরিয়া প্রবাসী ছিলেন।
২০০৮ সালে তিনি বাড়ির পাশে দেড় একর জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানে ৪০টি জাম গাছ ও ৭০টি আম গাছ আছে।
বাগান মালিক আহসান হাবিব বলেন, বাগানের ফল রক্ষার জন্য জাল দেওয়া হয়েছে। এরপরও পাখি ফল নষ্ট করছে। ছোট ছোট ছেলেরা না বুঝে পাখি তাড়াতে গিয়ে দুই একটি মেরেও ফেলছে। আমি কখনো পাখি মারি না। পাখি অনেক ফল নষ্ট করে।
উপকূলীয় বন কর্মকর্তা ও উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালী কর্মকর্তা আবদুল্লা আল মামুন বলেন, বন্যপ্রাণী আইনে ফাঁদ পেতে কোনো প্রাণী হত্যা আইনত অপরাধ। কোনো ব্যক্তি যদি এমন করে পাখি হত্যা করে তা বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ফলন রক্ষার জন্য কোনো প্রাণী হত্যা করা যাবে না।
বন বিভাগ ও সদর ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দেওয়া হবে। পাখি আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী। এরা ক্ষেত খামারের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে।