বরগুনায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় কীটনাশক পান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

প্রেমে বাধা দেওয়ায় সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাঁচ দিন চিকিৎসা শেষে সোমবার রাত ১টায় ওই কিশোরী মারা যায়।

কিশোরীর মায়ের দাবি, রাজ্জাকের কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। রাজ্জাক বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইসমাইল মীরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী রাজ্জাকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিশোরীর মা বিষয়টি জানতে পেরে তার মেয়েকে নিবৃত্ত করেন। তারপরও তাদের প্রেম অব্যাহত ছিল।

কিশোরীর মা সোকানুর বেগম বলেন, রাজ্জাক ও তার বংশের এক লোকের কারণে আমার মেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ঘাস পঁচানো (কীটনাশক) ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা দেখতে পেয়ে আমার মেয়েকে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাই। অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল নিয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেছে কীটনাশক কিনেছে বজলু শরীফের দোকান থেকে। মৃত্যুর আগে রাজ্জাক মীর ও জিয়া মীর আমার মেয়েকে গালিগালাজ করেছে।

আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওই তিনজনই দায়ী। আমি মামলা করব। এ ঘটনার পর থেকে রাজ্জাক পলাতক। অন্যদেরও ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি। কেউ মামলা করতে আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।