বরগুনার আমতলীতে প্রবাসীর স্ত্রী কামরুন নাহারের পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে পড়ে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তরুন ও যুবকরা। স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে কামরুন নাহার বিভিন্ন জনের সাথে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তাদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে গিয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে। কামরুন নাহার ওই অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিকদের ব্লাক মেইল করে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি কামরুন নাহারের হাত থেকে তার স্বামীও রেহাই পায়নি। স্বামীও তার বিরুদ্ধে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত কামরুন নাহার বরগুনা জেলার আতমলীর উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ এলাকার সত্তার হাওলাদারের মেয়ে ও রিপন হাওলাদারের স্ত্রী। কামরুন নাহারের প্রতারণার শিকার উপজেলার কড়ই বাড়ি এলাকার ইমরান জানান, দীর্ঘ ৫ মাস পূর্বে কামরুন নাহারের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে কামরুন নাহারের সাথে কথা-বার্তা শুরু করে।
এভাবেই ধীরে ধীরে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কামরুন নাহার। এ সময় নিজেকে স্বামী পরিত্যাক্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ইমরানের সহমর্মিতা আদায়ের চেস্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় কামরুন নাহার ইমরানকে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে।
পরে ইমরান তাকে নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে যায় ও ২ দিন সেখানে অবস্থান করে। এভাবে পর্যায়ক্রমে কৌশলে মিথ্যা সমস্যা দেখিয়ে ইমরানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে একদিন ইমরান কামরুন নাহারের মোবাইলে একাধিক ছেলের সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দেখতে পায় ও তার সন্দেহ হয়। এছাড়া কামরুন নাহার অনেককে এভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা জানতে পারে। এ নিয়ে কামরুন নাহারের শশুড় বাড়ির লোকজন জানতে পেরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
পরে শশুড় বাড়ির লোকজন কামরুন নাহারের মোবাইলে ইমরানের নম্বর পেয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে। কামরুন নাহার এভাবেই উপজেলার টেপুর গ্রামের খলিল মাতুব্বরের ছেলে আলম মামুনকেও এভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকেও মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে কামরুন নাহারের স্বামী রিপন হাওলাদার মোবাইল ফোনে জানান, সন্তান ও স্ত্রীর কথা চিন্তা করে আমি আড়াই বছর পূর্বে সৌদি আরবে যাই। কয়েক মাস পরে জানতে পারি আমার স্ত্রী এসব অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। আমাদের সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই সন্তানের কথা চিন্তা করে তাকে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। আমি তাকে বারন করায় সে আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়।
এমনকি এ নিয়ে আমার মায়ের সাথে কামরুন নাহার খারাপ আচরন করে। রিপনের মামা ফারুক হাওলাদার জানান, কামরুন নাহারের চাল-চলন ভালো নয়। প্রায় সময় তার বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি যাবার কথা বলে মেয়েকে বাসায় একা রেখে চলে যায়। ২/৩ দিন পর আবার সে ফিরে আসে। কিন্তু পরে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কামরুন নাহার কোন আত্মীয়ের বাড়ি যায়নি। কামরুন নাহারের এসব কর্মকান্ড নিয়ে এমনকি একাধিকবার শালিশ মিমাংসাও করা হলেও সে নিজেকে শোধরায়নি।
এ ব্যাপারে ৬নং আমতলী ইউপি চেয়ারম্যার মোতাহার উদ্দিন মৃধা জানান, রিপনের পরিবারের কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কামরুন নাহারের বাবা সত্তার হাওলাদারের নিকট মেয়ের এসব কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন।