বরগুনায় জামিনে থাকা আসামির স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরগুনায় স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে সোহেল (৪০) নামে একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

গতকাল সোমবার রাতে বরগুনা পৌরশহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের পক্ষ থেকে সোহেলকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহেল পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা এলাকার বাসিন্দা।

স্কুলছাত্রীর মা জানান, অভিযুক্ত সোহেল তাদের বাসার কাছেই ভাড়া থাকত। এ সুবাদে সোহেল তাদের পরিচিত।

গত মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার পথে সোহেল জোর করে আমার মেয়েকে রিকশায় তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করেন।

এ সময় আমার মেয়ে তার চাচাতো বোনকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।

চিৎকার শুনে চাচাতো বোন কৌশলে এক অটোরিকশা চালকের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে এ ঘটনা স্থানীয় কাউন্সিল জাহিদুল করিম বাবু ও সাবেক কাউন্সিলর মো. জামাল হোসেন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা চম্পাকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর জাহিদুল করিম বাবু জানান, সোহেল বখাটে ও মাদকাসক্ত।

এর আগে ইয়াবা বিক্রি ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তিন মাস আগে ধর্ষণ মামলা থেকে জামিন পেয়ে ফের নবম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে।

গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। সোহেলের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত।

গতকাল সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি এলাকার বাইরে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করি। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে সোহেল দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে।

 

সোহেলের বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। স্থানীয়রা সোহেলকে গতকাল আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। আমরা রাত ১১টার দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্কুলছাত্রীর মা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় সম্প্রতি সে জামিনে ছিল।’