বরগুনায় জমির বকেয়া খাজনা পরিশোধ করে পেলেন পুরস্কার

:
: ৬ years ago
dav

বরগুনার আমতলীতে বকেয়া ভূমি কর আদায়ে আমতলীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমলেশ চন্দ্র মজুমদার এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে ১৩ জন ভূমি কর বকেয়া জমির মালিককে তার কার্যালয়ে এনে আপ্যায়ন ও পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করে বকেয়া ভূমি কর প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করনের পর তারা তাদের বকেয়া সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দেন।

আমতলী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ভূমি কর বকেয়া থাকা জমির মালিক মো: মাহবুবুল আলম জানান, আমার ৫বছরের ভূমি কর বাকি ছিল। আজ মঙ্গলবার এসিল্যান্ড স্যারের কথায় মুº হয়ে আমার বকেয়া করের সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করে দেই। গুলিশা খালী গ্রামের সতিশ চন্দ্র কবিরাজ বলেন, আমার দেড় একর জমির কর দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া ছিল। না বুঝে আমি জমির কর বকেয়া রেখেছি। আজ মঙ্গলবার এসিল্যান্ড কমলেশ স্যারে আমাগো বুঝাইয়া বলার পর আমার বকেয়া টাকা সম্পূর্ন পেিরাশধ করে দেই। এভাবেই হলদিয়া, চুনাখালী, আমতলী সদর ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় বকেয়া ভূমি করের ১৩ জন জমির মালিক সচেতন হয়ে নিজ উদ্যোগে তারা বকেয়া ভূমি কর পরিশোধ করেন।

এরপর প্রত্যেকের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কর পরিশোধের রশিদ ও উপহার হিসেবে একটি করে কলম তাদের হাতে তুলে দেন আমতলী উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) কমলেশ চন্দ্র মজুমদার। পরে কর পরিশোধ কারীদের মিষ্টি ও চা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কুকুয়া ইউনিয়নের বকেয়া কর পরিশোধ কারী নূর নেহার বলেন, জমির খাজনা পরিশোধের লইগ্যা মোগো এতদিন এই রহম কেউ বুঝাইয়া কয় নাই। হেই লইগ্যা মোরা টাহাও পরিশোধ করি নাই। এহন অইতে মোরা সবসময় নিয়মিত খাজনার টাহা পরিশোধ করমু।

একই এলাকার আরেক কর পরিশোধকারী হারুন অর রশিদ জানান, স্যারে মোগো মিষ্টি খাওয়াইছে কলম দিছে। হের পর ভাল ভাল কথা কইছে। হের কথা হুইন্যা খুব ভাল লাগজে। হে যেন ব্যামালা দিন মোগে থাহে হেলে আমাগো অনেক হুগার অইবে। আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমলেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, মানুষকে বুঝিয়ে যে কাজ করা যায় আইনের ভয় দেখিয়েও সে কাজ করা যায় না।

বকেয়া ভূমি কর আদায়ের জন্য আমি জমির মালিকদের সাথে সচেতনতা মূলক সভা করে তাদের বুঝানোর পর তারা নিজেরাই এখন কর পরিশোধ করছে। এভাবে আমি আমার কাজ অব্যাহত রাখবো। তিনি আরো বলেন, জমির মালিকরা এখন সহজ ভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নাম জারিসহ জমি জমা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ পত্র তাদের হাতে পাচ্ছে। এখন আর মাসের পর মাস কাগজের জন্য অফিসে কাউকে ঘুরতে হয়না। এজন্য তিনি সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।