বরগুনায় ছোটবড় গর্তে বেহাল সড়ক, ভোগান্তিতে পথচারীরা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরগুনার বেতাগী উপজেলার পুলের হাট-জলিশা বাজার এলাকার প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন যানবাহন ও পথচারীরা। ছোটবড় গর্তে সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার পোলেরহাট বাজার থেকে বাসন্ডা হয়ে জলিশা বাজার পর্যন্ত চলে গেছে সড়কটি। বেতাগী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে জলিশা বাজার। এটি এই উপজেলার মধ্যে একটি অন্যতম বাজার। পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসে।

জলিশা বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ডিগ্রি কলেজসহ কৃষি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। নানা দিক থেকে জলিশা বাজার এ অঞ্চলের মানুষের কাছে গুরুত্ব বহন করে। বেহাল সড়কের অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার লোকজন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাটির পোলের হাট, বাসন্ডা, গোয়াল বাড়ি, জলিশা বাজার এলাকার অধিকাংশ স্থানেই খোয়া-পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কের একপাশ দিয়ে চলছে ছোট যানবাহন। বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে পুকুরের মতো তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলাচল করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

জলিশা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, জলিশা বাজার থেকে পোলের হাট বাজার সড়কের খুবই নাকাল অবস্থা।

এ সড়কটি সংস্কারের অভাবে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ৫ কিলোমিটার সড়কে ছোটবড় হাজার হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলা এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

অটোচালক হানিফ হাওলাদার বলেন, সড়কের এতটুকু জায়গা পার হতে সময় লাগার কথা দশ মিনিট, সেখানে লাগছে আধা ঘণ্টা। প্রায়ই এ সড়ক পার হতে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। গাড়ির যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের এ ধরনের সড়ক সংস্কারের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ থাকে না। আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে কয়েকটি গর্ত সংস্কার করেছি। বাকি গর্তগুলো শিগগিরই সংস্কার করা হবে।

বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।