বরগুনার পাথরঘাটায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাথরঘাটা ছাত্রলীগের রাজনীতি। শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নেতৃত্বে পাথরঘাটা পৌর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ওই মিছিল থেকে সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও এমন বিভিন্নভাবে প্রতিপক্ষ দের উদ্দেশ্যকরে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শ্লোগান দেয়া হয়। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কালমেঘা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম জালাল পঞ্চায়েতের ছেলে ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জনি পঞ্চায়েত(১৮)কে কুপিয়ে হাত,পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম কর হয়।
একই সময় তার বন্ধু পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মৃত জালাল মোল্লার ছেলে মো.এমাদুল (১৮)কেও বেধড়ক পিটুনি দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। আহত এমাদুল নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে জানায় রাত ৯টার দিকে সুজন ভাই জনিকে কুপিয়েছে। এসময় তার সঙ্গে সৈকত,অতনু সহ আরও ৯/১০জন ছিল।
তাদের হাতে লাঠিসোটা, প্লাস্টিকের পাইপ ও রামদা দেখেছে সে। তবে ছাত্রলীগ নেতা জনি অসুস্থ থাকায় এই হামলার কারণ জানা যায়নি। ঘটনার পর বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি পাথরঘাটা হাসপাতলে রক্তাক্ত জখম জনি কে দেখতে যান।
পাথরঘাটা থেকে রাতেই জনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতলে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নেন সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন।
স্থানীয় ছাত্রলীগ এর মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে স্থানীয় ছাত্রলীগে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, পাথরঘাটায় পৃথক মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।