র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারকচক্র, ভিকটিম উদ্ধার, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা তথা ধর্ষনের বিরুদ্ধেও সে¦াচ্চার ভূমিকা রাখছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ রাত আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় ভিকটিম(৩২) তার চাচাতো ভাই মোঃ মানিক ও চাচা মোঃ চাঁন মিয়া শিকদারকে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে গান গাওয়ার জন্য মহেশপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত আনুমানিক ২০২০ ঘটিকার সময় বেতাগী থানাধীন বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে পৌছালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা আসামী মোঃ মানিক (৩৫) ও মোঃ আলমগীর হোসেন তাদেরকে গতিরোধ করে। তাৎক্ষনিক আসামী দুইজন ভিকটিমের চাচাতো ভাই এবং চাচাকে আঘাত করলে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অতঃপর আসামী দুইজন ভিকটিমকে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে তাদের মোটর সাইকেলে তুলে বেতাগী
থানাধীন পুটিয়াখালী সুইজঘাট এর উত্তর পার্শ্বে বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। উক্ত স্থানে আসামী মোঃ মানিক ও মোঃ আলমগীর হোসেন পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চাচাতো ভাই ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় ভিকটিমকে খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং ভিকটিমের কাছে জানতে পারে আসামী মানিক ও আলমগীর তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গত ০১ মে ২০১৯ তারিখে ভিকটিমের চাচাতো ভাই মানিক বাদী হয়ে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-০১ তারিখ ০১-০৫- ২০১৯, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) রুজু হয়। উল্লেখ যে, প্রধান আসামী মোঃ মানিক ঢাকার তুরাগ পরিবহনের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর উভয়েই এলাকা ত্যাগ করে গা ঢাকা দেয়।
ধর্ষন মামলাটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। ঘটনার পর থেকে র্যাব-৮ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা অভিযান ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ০৯ মে ২০১৯ তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মানিককে মান্দা, থানা-দক্ষিণ মুগদা এলাকা হতে রাত আনুমানিক ২১৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ধর্ষন সংক্রান্ত ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষনের পর পরই সমাজের কিছু শ্রেণীর মানুষ এটাকে জোরপূর্বক মীমাংসা করা
অথবা ভিকটিমকে মামলা না করার জন্য বল প্রয়োগ করতে থাকে যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এ ধরণের পরিস্থিতি আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধ পরিকর। ভবিষ্যতে র্যাবের এ ধরণের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।