শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ দুঃস্থ মহিলাদের ভলনিয়ারবল গ্রুপ ডেভেলোপমেন্ট-ভিজিডি কার্ড নিতে ঘুষ দিতে হলো সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যকে। ভুক্তভোগি মুন্নি আক্তার ও মনোয়ারা বেগম ভিজিডি কার্ডের জন্যর দেয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গেলে পিটিয়ে আহত করলেন ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। ঘটনার অভিযোগের তীর বরগুনার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি ইউপি সদস্য রিনা গাজী ও রাজ এর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলের এ ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগ পরিবার ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, উপজেলার ৬ নম্বর কাজিরাবাদ ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রিনা গাজীকে ভিজিডি কার্ড পেতে, ছয় হাজার টাকা ঘুষ দেয় কাজিরাবাদ গ্রামের মুন্নি আক্তার (৩৫) ও মনোয়ারা বেগম (৬০)।
ঘুষের টাকা ইউপি সদস্যে রিনা গাজীর বাড়ীতে ফেরত চাইতে গেলে ইউপি সদস্য ও তার ছেলে রাজ ভুক্তভোগি মুন্নি ও মনোয়ারা বেগমের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারি লাথি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। এতে মুন্নি ও মনোয়ারা গুরুতর আহত হয়।

মুন্নী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ওয়ালিদ বলেন, মুন্নির শরীরের বিভিন্নস্থানে ইনজুরি হয়েছে।’
ভুক্তভোগি মুন্নি আক্তার বলেন,’ ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে মারধর করে। বিচারের জন্য মৌখিক অভিযোগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রীনা গাজী বলেন,’ মুন্নী আমাদের বাড়ী যেয়ে বলেছে আমাদের ভিজিডির অনলাইন করার কাগজটা দিন। তার কথার জবাবে আমি বললাম,সেটা তো আমার কাছে এখন নেই, আপনাকে পরে দিবো। এটা বলার পরে মুন্নী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে বাড়ী থেকে বের হয়। তখন আমার ছেলে রাজ তাদের বলেন, আপনারা এসব কি বলতেছেনন ।এই বলাতে তারা আমার ছেলে রাজকে একটা ধাক্কা দেয় এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় আর কিছু না।’

কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সুমন বলেন, অনলাইন করার জন্য ইউপি সদস্য রীনা গাজী ১ হাজার টাকা নিয়েছে সেটা আমি শুনেছি কিন্তু তাকে মেরেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই, আর আমি তো এখন ঢাকায় আছি। ‘

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মে. শাহআলম হাওলাদার বলেন,’ মৌখিকভাবে শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,’ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসছে। বিষয়টি খুব মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।’