বরগুনার বেতাগীতে প্রভাষক মো. আশ্রাফুল হাসান লিটনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি তৈরি করে অন্যের ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিজনক ছবি ও টেক্স ম্যাসেজ পাঠানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার মূল আসামি মো. রিদওয়ানুল হক ফাহাদ (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. ফেরদৌস আলম খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বরিশাল শহরের বাংলা বাজার এলাকা থেকে মামলার মূল আসামি মো. রিদওয়ানুল হক ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে বেতাগী থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বুধবার (২২ জুলাই) সকালে ফাহাদকে আদালতে পাঠানো হয়।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফাহাদ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।’
জানা যায়, বরগুনার বামনা উপজেলা ফায়জুন্নেসা মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. আশ্রাফুল হাসান লিটনের নিজের ফেসবুক আইডির সঙ্গে মিল রেখে নকল অন্য একটি আইডি তৈরি করে তাঁর কলেজের ছাত্রীসহ বিভিন্ন জনের ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিজনক ছবি ও টেক্স ম্যাসেজ পাঠানো হয়।
এর ফলে উক্ত ছাত্রীর অভিযোগে প্রভাষক আশ্রাফুল হাসান লিটনকে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কলেজ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরে আশ্রাফুল হাসান লিটন বাদী হয়ে ৭ জুলাই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৪ ও ২৯ ধারায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিদওয়ানুল হক ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে।