বরগুনার এসপিকে সংবর্ধনা দিলেন সেলিনা হোসেন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

পেশাগত কৃতিত্বের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল পাওয়ায় বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাককে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ড. সেলিনা হোসেন ও তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।

শনিবার সকালে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ড. সেলিনা হোসেন প্রতিষ্ঠিত হলতা ডৌয়তলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক ড. সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মো. নাজমুল ইসলাম, শিক্ষানবীশ এএসপি মো. রাজিবুল হাসান, বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনেওয়াজ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান মজনু, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, সাবেক সভাপতি চিত্তরঞ্জন শীল, হলতা ডৌয়তলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম টুকু, সাবেক ইউপি চেয়রম্যান শাহজালাল মৃধা, হলতা ডৌযাতলা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল হক খান, হলতা কুমির মারা আবু জাফর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনসহ ড. সেলিনা হোসেন পরিচালিত উন্নয়ন সংগঠন ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৪ জুন পুলিশ সুপার হিসেবে বরগুনায় যোগ দেন বিজয় বসাক। বরগুনায় যোগদানের পর থেকে জেলা পুলিশের উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলেন তিনি। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো, হতদরিদ্র অসহায় নারীদের জন্য বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি, জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা ও ক্যারিয়ার ভাবনা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানসহ জেলার আইনশৃংখলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় পাঁচবার বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হন বিজয় বসাক। এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ ম্যাডেল এবং ২০১২ ও ২০১৬ সালে দুইবার তিনি আইজি ব্যাচ অর্জন করেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ পান তিনি।