স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বরগুনায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে স্বামী রিফাতকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ১৩ জন শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও শিগগিরই গ্রপ্তার করা হবে। যে দলেরেই হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওয়তায় আনা হবে।
শুক্রবার (২৮ জুন) পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সসদস্যরা অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের নজর এড়িয়ে কেউ পার পায়নি। রিফাত হত্যায় যারা জড়িত, তাদের অধিকাংশই ধরা পড়েছে। বাকি যে কয়েকজন আছে, তারা অচিরেই ধরা পড়বে— এটা নিশ্চচিত থাকুন।
তিনি বলেন, বরগুনায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি কেন ঘটেছে তদন্ত করে জানানো হবে। তবে এটি দুঃখজনক। এ ঘটনায় পুলিশ বসে নেই। যতগুলো ঘটনাই ঘটুক বাংলাদেশে, পুলিশের দক্ষতা-সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ফেনীর মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাতেও আমি বলেছি, আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। সেখানে দেখেছেন, আমাদের দলের যারা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদেরও আমরা ছাড় দিইনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন। তাই আপনারা যারা সন্দেহ করছেন, আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে— আপনাদের এই ধারণা ভুল।
এর আগে, বুধবার (২৬ জুন) সকালে বরগুনা কলেজের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনেই তার স্বামী রিফাত শরীফকে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন নয়ন বন্ডসহ তার সহযোগীরা। মিন্নি চেষ্টা করেও তাদের নিবৃত করতে পারেননি।
পরে রিফাতকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যায়।