বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই বরগুনায় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। জেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। মজুদ করা হয়েছে ৪৩০ মেট্রিক টন চাল এবং বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় পূর্ব এবং পরবর্তী উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। খোলা হয়েছে ৭টি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত করা হয়েছে ৪২টি মেডিক্যাল টিম।
বরগুনার বরইতলা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার (৭০) বলেন, ছোটবেলায় থেকেই দেখেছি ঘূর্ণিঝড়ের আগে আমাদের এই অঞ্চলে এমন আবহাওয়া বিরাজ করে। এমন আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্ববর্তী লক্ষণ হিসেবে আমরা জানি। ঝড়ের কথা শুনলে এমনিতেই আমাদের ভয় লাগে। কারণ আমরা নদী তীরের বাসিন্দা।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী উদ্ধার অভিযান প্রচারণা ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক জোর দিয়েছি। যাতে কোনো মানুষ হতাহত না হয়।