ববির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হলেন ড. তারেক মাহমুদ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান হলেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক ড. তারেক মাহমুদ আবীর। সোমবার (১৯ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন বিভাগ সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ২০১২ সাল থেকে থেকে তিনি শিক্ষকতা করে আসছেন। ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভের পর পর্যায়ক্রমে দীর্ঘদিন সহকারী অধ্যাপক এবং সবশেষ গেল সোমবার (১৯ আগস্ট) তিনি বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিযুক্ত হন।

বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ  উপজেলার এই কৃতী সন্তান শিক্ষাগত জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসএস (অনার্স) এবং এমএসএস (মাস্টার্স) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি চিনের সেন্ট্রাল চায়না ইউনিভার্সিটি (সিসিএনইউ) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হওয়ার পর তিনি নিজ বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার এই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এ দিকে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ড. তারেক মাহমুদ আবীর বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তারা আনন্দিত। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক শিক্ষার্থী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে নতুন চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবার।

বিভাগ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. তারেক মাহমুদ আবীর দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমার প্রথম চিন্তাই হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে সেশনজট মুক্ত করা। এছাড়া আমার যারা শিক্ষক আছেন তাদের পদন্নোতি নিশ্চিত করা এবং বিভাগের শিক্ষার্থীদের যে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম আছে সেগুলো স্মুথলি রান করানো।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগভিত্তিক গবেষণায় গুরুত্ব দিতে চাই। আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাক, বিভাগের মুখ উজ্জ্বল করুক।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থী এবং সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।