বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে বিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টার অভিযোগে আটক ছয় শিক্ষার্থী রবিবার (২৬ নভেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার প্রশ্নফাঁসের সরঞ্জামসহ এদের আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে তিন জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকালে আটক করার পর সেই রাতে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশিষ কুমার। রবিবার অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা। ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ ও লিপিবদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে তারা।
আটক ছয় জনের জবানবন্দির সূত্র ধরে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশিষ কুমার।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে বরিশালের এক বাসা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ এদের আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামগুলো হলো-পাঁচটি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ব্লুটুথ ইন্ডাকসন (ইয়ারফোন), পাঁচটি এটিএম কার্ড, এন্টি-জ্যামার ইলেট্রনিক ডিভাইস এবং ১৩টি সিমসহ ১১টি মোবাইল সেট।
আটককৃতরা হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মারুফ হোসাইন মারুফ (২২); মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. আলমগীর শাহিন (২৪) ও গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মাহামুদুল হাসান আবিদ (২৩)। এ তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের শহীদ বরকত ভবনের ৪০১, ৩০১ ও ৩০২ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় সিআইডি’র তালিকায় মারুফ হোসাইন মারুফের নাম আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ তিন জন ছাড়াও আটক অন্য তিন জন হলো- গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সাব্বির আহমেদ প্রিতম (২৩), মোহাম্মদপুর ডিগ্রি কলেজের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রাকিব আকন (২১) ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান বাকি (২২)।