#

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. এ কে এম মাহবুব হাসানের বিদায়ী দিনে সাংবাদিক সমিতির কমিটি নিয়ে গুজব উঠেছে। জানাগেছে সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামত না নিয়েই কিছু শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে নাম সর্বস্ব একটি সাংবাদিক সমিতি গঠনের চেষ্টা করা হয়েছে। যেটার সভাপতি হিসেবে শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ লালন হোসেনের নাম উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু শিক্ষার্থীরা ফুল দেয়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এবং তাদের কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সমিতি গঠনে কোনো প্রকার নির্বাচন ছাড়াই নিজেদের মধ্যে পদ-পদবি ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।অভিযোগ রয়েছে ‘দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’ এর প্রতিনিধি সোহেল রানা নির্বাচনে উপস্থিত না থেকেও কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।শুধু তাই নয় ভোট কার্যক্রমে কোনো শিক্ষক বা নির্বাচন কমিশন ছিলনা বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

এদিকে সাংবাদিক সমিতি গঠনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. এ কে এম মাহবুব হাসান সমিতি গঠনের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুসারে সাংবাদিক সমিতি করতে হলে সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামত লাগবে। আমার একার কোনো এখতিয়ার নেই সাংবাদিক সমিতি গঠনে অনুমোদন দেয়ার ।আমি এখন পর্যন্ত কোনো সমিতি বা কমিটির অনুমোদনের বিষয়ে কাউকে লিখিত কিছু দেইনি । তবে সাংবাদিক সমিতির পরিচয়ে কিছু শিক্ষার্থীরা ফুল দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়য়ে আজ আমার শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিকতায় জড়িত শিক্ষার্থীরাও ছিল।

সমিতি গঠনের ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে কথিত সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিসি স্যার কিছুদিন আগে আমাদের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছিল তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্যারের শেষ কার্যদিবসে আমরা নিজেরা একটি নির্বাচনের আয়োজন করি।তবে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভিসি স্যারের মাধ্যমে তিন সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেয়ার প্রেক্ষিতেই আমাদের সাংবাদিক সমিতি যাত্রা শুরু করতে পারবে ।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি সুমাইয়া আক্তার তারিন বলেনে, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কিছু সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে,তবে ভিসি স্যারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার লিখিত অনুমোদন দেয়া হয়নি।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার একটু ব্যাক্তিগত সমস্যার কারনে আমি আজ নির্বাচনের কার্যক্রমে সময় দিতে পারিনি।তবে ভিসি স্যারকে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিদায়ী ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়ার সময় তাদের সাথে ছিলাম।

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, সাংবাদিক সমিতি হবার কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। এমন কিছু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে প্রেস রিলিজ যাবে । এদিকে নগরীর সাংবাদিক মহলে উক্ত নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। প্রেসক্লাব কিংবা রিপোর্টার্স ইউনিটি সূত্রে জানা যায় কথিত সাংবাদিক সমিতির কোনো সাংবাদিকবৃন্দর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ নেই সংগঠনগুলোর। পেশাগত পরিচয়ের দিক থেকেও প্রায় সবাই অপরিচিত।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন