বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের লিখিত আবেদনকে মিথ্যাচার আখ্যায়িত করে তার (ভিসি) পদত্যাগের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
সরকারি ছুটি ও পবিত্র শব-ই-বরাতের কারণে দুইদিন আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত থাকার পর মঙ্গলবার আন্দোলনের ২৬তম দিনে সকাল নয়টায় ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি সকাল থেকেই একাডেমিক ভবন ঘিরে শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আন্দোলনের শুরু থেকে ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে ভিসির দেয়া ডাকে সাড়া দিয়ে কোনো শিক্ষার্থীরাই ক্লাশে যায়নি। ক্লাশ করানো নিয়ে শিক্ষকদেরও কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, যে ভিসিকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি, যার পদত্যাগ চেয়ে ২৬ দিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তার ডাকে সাড়া দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন ও শফিকুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের (ভিসি) একটি লিখিত আবেদন প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন ৫% শিক্ষার্থীর আন্দোলন এটি, বাকিরা নাকি তার পক্ষে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। আর ৫% এর আন্দোলন হলে, বাকিরা সবাই তার পক্ষে থাকলে তিনি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ভিসি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন এবং ঠিক এর ২৬ দিনের মাথায় লিখিতভাবে আবার শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী বলেছেন। তাই গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন এই ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে গোটা দক্ষিণা লের সড়ক, নৌ ও আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও শিক্ষার্থীরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে ভিসি’র পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, ভিসির পদত্যাগ ও আট দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।