বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ক্লাস রুম নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে মারমুখী আচরণের অভিযোগ উঠেছে বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর।
মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) দুপুরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৬০৬ নং ক্লাসরুমে শিডিউল ক্লাস করতে গেলে এ অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২৬০৬ নং রুমে তাদের শিডিউল ক্লাস করতে গেলে, ক্লাস না থাকা সত্ত্বেও সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয় এবং রুমটিকে তাদের ক্লাসরুম বলে দাবী করে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত তাদের বিভাগের নেমপ্লেট ছিঁড়ে ফেলে। সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে তারা অশোভন, রূঢ় এবং মারমুখী আচরণ করে।
বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. রেহানা পারভীন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা আমাদের এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইন্টারন্যাল ব্যাপার।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ একই সাথে চালু হয়।
প্রতিষ্ঠাকালীকাল থেকেই বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। একই সাথে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২টি ক্লাসরুম, ১টি ল্যাব, শিক্ষকদের জন্য ৩টি রুম এবং অফিস সহকারীদের জন্য ১টি রুম থাকলেও সাংবাদিকতা বিভাগের নেই কোন ল্যাব বা নির্দিষ্ট ক্লাসরুম।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা এখনো ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ক্লাসরুমে, কখনো বা পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত ক্লাসরুমে ভাগাভাগি করে ক্লাস করে থাকে।সংকট রয়েছে শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস রুমেরও। বর্তমানে বিভাগটিতে কর্মরত পাঁচজন শিক্ষকের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র দুইটি অফিস রুমের।
যেখানে তারা গাদাগাদি করে বসে অফিস করেন। অফিস সহকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমেও ভাগাভাগি করে অফিস করতে হয় এক শিক্ষককে। বর্তমানে তিনটি ব্যাচের জন্য সাংবাদিকতা বিভাগের কোন নির্দিষ্ট ক্লাসরুম না থাকায় শিক্ষকদের ক্লাস নিতে যেমন বেগ পেতে হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের মাঝেও সেশনজটের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।