করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কওমি মাদরাসা চালু রয়েছে। তবে এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া মাদরাসাগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এই নির্দেশনায় বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
পরে সচিবালয়ে ১৮ দফা নির্দেশনার বিষয়ে কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে। সেখানে কোনো শিক্ষার্থী আসবে না। শুধু কওমি মাদরাসাই নয়, সব ধরনের মাদরাসা বন্ধ থাকবে।’
এর আগে গত বছরের ১৭ আগস্ট কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু ও পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিল কওমি মাদরাসাগুলো।
ওইদিন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন কওমি মাদরাসার একটি বোর্ড- জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল।
এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহামারির কারণে আটকে থাকা ডিগ্রি ও মাস্টার্স পর্যায়ের পরীক্ষা গ্রহণ এবং কিতাব বিভাগ খুলে দিতে গত বছরের ২৪ আগস্ট কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে অন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ৩০ মার্চ থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়া হলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৩ মে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে।
তবে এর আগেই সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, আগামী রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে ১৭ মে খুলে দেয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো।