প্রেমের চেয়ে বড় বন্ধুত্ব। তবে বন্ধুত্বের হাত ধরেই আসে প্রেম।
তাই কাছের কোনো বন্ধুকে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে তারপর এগিয়ে যাওয়া উচিত।
শিরোনাম দেখে কেউ হয়তো বলবে, বন্ধু আগে! আবার কেউ কেউ বলে বসবে— না, প্রেমই আগে। তবে এ প্রজন্মের দশজনের মধ্যে নয়জনই বলছেন, কখনো না। প্রেম বা বিয়েটাই শেষ কথা নয়। বোকা বাক্সের এ যুগে একজন সত্যিকারের বন্ধু বা মন থেকে ভালো চায় এমন একজন ‘ওয়েল উইশার’ সবারই জরুরি। একটা সুন্দর সম্পর্কের দামও আকাশছোঁয়া। হোক সেটা বন্ধু কিংবা প্রেমিকের সঙ্গে। প্রেমের চেয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ককেই প্রাধান্য দেয় আজকালকার ছেলেমেয়েরা। কেননা, এ সম্পর্ক অনেকটা সচ্ছল।
অনেক ছেলেমেয়ে মনে করে প্রেমের চেয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্কের বাঁধনটাই বেশ জোরালো। যে কোনো ধরনের সমস্যা তার সঙ্গে শেয়ার করা যায় অনায়াসেই। এক কথায় জীবনের সব কিছু তাকে খোলাখুলি বলা যায়। তবে এ সম্পর্কটিকে প্রেমের সম্পর্কে নেওয়া যায়? বা কাছের বন্ধুটির সঙ্গে প্রেম করলে কেমন হতো! সেরা বন্ধুটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে না জড়ানো ভালো বলেও মনে করেন অনেকে। কারণ সম্পর্কের মধ্যে উত্থান-পতন থাকে। সম্পর্ক যদি ঠিকঠাক না চলে, তখন প্রেম তো হয়ই না, বন্ধুত্বও ছুটে যায়। তবে বন্ধুত্বের হাত ধরেই আসে প্রেম। সফল সম্পর্কের ভিত্তি হলো বন্ধুত্ব— এমনটি অনেকেই মনে করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন, ‘প্রেমের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের পরিচিতজনকে (বন্ধু) অন্যের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। এই পরিচিতজনকে প্রেমের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিলে সম্পর্ক ভালো হয়। ’ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বন্ধুত্বের কারণে দুজন দুজনকে ভালোভাবে জানতে পারেন। পরস্পরের ভালো ও খারাপ দিকগুলো জানা হয়। গভীর বন্ধুত্বের মধ্যে লুকোচুরি কম থাকে। দুজনের পছন্দে ভিন্নতা থাকলেও বন্ধুত্বের সুবাদে ব্যবধান কমে আসে বা ঘুচে যায়। কিন্তু প্রেম নামক সম্পর্ক লুকাতে যে শব্দটা সব সময় সবার আগে এগিয়ে আসে, সেটাও বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বকে উপায় হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। বন্ধুত্ব তখন নিছক খেলায় পরিণত হয়। এমনটি উচিত নয়। আবার বন্ধুকে ভালোভাবে না বুঝেই প্রপোজ করাটাও বোকামি। তাই কোনো বন্ধুকে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করা উচিত। কেননা, সম্পর্কটা ঠিকঠাক মতো না চললে তখন বন্ধুত্বও ছুটে যায়।