একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকেরকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬নভেম্বর) বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তার স্বজনরা জানান, মৃত্যুর দুদিন আগে আলী যাকেরের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ কারণে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করা হয়নি। আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আলী যাকেরকে শেষ শ্রদ্ধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রমুখ। এছাড়াও, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দলের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরিবারের পক্ষে তাঁর মরদেহের পাশে স্ত্রী সারা যাকের, ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের, মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে আলী যাকেরের মরদেহে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছিল তার মরদেহ। পরে নেয়া হয় তার কর্মস্থল এশিয়াটিকে।