বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্য-প্রমাণ নেই

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্য-প্রমাণ নেই বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে কোনো ক্রসফায়ার হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা বন্দুকযুদ্ধ। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে পুলিশ সামনের দিকে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, সাংসদ, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র‍্যাব, সাংবাদিক—যাঁরাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদের ছাড় নয়।

মাদক ব্যবসায় জড়িত, এমন অভিযোগ থাকার পরও সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না—এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংসদ বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সেই অভিযোগগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি। বদিসহ অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে আপনাদের কাছেও কোনো তথ্য থাকলে আমাদের দিন। বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্য-প্রমাণ নেই।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখনই হাই-প্রোফাইল মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেছে, তারা হয় পালিয়েছে বা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।’ বন্দুকের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, যারা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করছে বা গোলাগুলিতে লিপ্ত হচ্ছে, তারাই নিহত বা আহত হচ্ছে।

সরকারি দলের লোকদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমাদের একজন সংসদ সদস্য কয়েক বছর ধরে জেলে আছেন, জামিনও পাননি। কাজেই আইন সবার জন্য সমান। আমরা আইনের বাইরে কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিই না, আপনারা নিশ্চিত থাকুন।’

দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে গতকাল সোমবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয় মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় গত আট দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩৭ জন নিহত হলেন। তাঁদের মধ্যে ৩১ জন মাদক ব্যবসায়ী বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি।