বদলে যাচ্ছে বীমা খাত

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বদলে যাবে দেশের বীমা খাতের চিত্র। এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। বরাদ্দ দেয়া হবে ৬৩২ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্বিক অটোমেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আইসিটি সুবিধা তৈরি করা হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্স কভারেজ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন শীর্ষক এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দের ৫১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্প উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইডিআরএ এবং বাংলাদেশ বীমা একাডেমির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা কর্পোরেশনগুলোকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করা হবে। ফলে সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমা খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সার্বিক বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় আইডিআরএর সার্বিক অটোমেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আইসিটি সুবিধা তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সৃষ্টি করা কবে। এছাড়া বীমা একাডেমির প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন, বীমা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, বীমা খাতে ঝুঁকিভিত্তিক তত্ত্বাবধান পদ্ধতি প্রবর্তন, বীমা তথ্য বিশ্লেষণ ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে পরামর্শক সেবা সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে আইডিআরএর সদস্য ও মুখপাত্র গকুল চাঁদ দাস বলেন, বীমা খাত অটোমেশন হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। ফলে বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে, যা টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়নে বীমা খাতের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। আর্থিক খাতের ঝুঁকি নিরসনের ক্ষেত্রে বীমা খাত গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশে বীমা খাতের পরিসর সীমিত। বীমা খাতকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কার শুরু করেছে। এ লক্ষে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তদারকি ও নজরদারি আরও কার্যকরভাবে পালন করা প্রয়োজন। এজন্যই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।